আরএমপি নিউজঃ রাজশাহী
মহানগরীতে মদ সেবন করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জনের মৃত্যুবরণ এবং আরো কয়েকজন অসুস্থ
হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনের ঘটনায় মাননীয় পুলিশ কমিশনার জনাব
মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয়ের তাৎক্ষণিক নির্দেশে এবং পরিকল্পনায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন
পুলিশের বিভিন্ন থানা ও ডিবি পুলিশের সমন্বয়ে অবৈধ মদের বিরুদ্ধে আরএমপির বিভিন্ন এলাকায়
সর্বাত্বক অভিযান শুরু হয়। এসআই/মোঃ মিজানুর রহমান-৩ এর নেতৃত্বে বোয়ালিয়া মডেল থানার একটি চৌকস পুলিশ টিম মৃত ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনের এবং চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের
জিজ্ঞাসাবাদ ও গোপন সংবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গত ০৩/০১/২০২১
খ্রিষ্টাব্দে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা হতে আসামী ১। পরিমল
সিং (৬০), পিতা-মৃত পবিত্র সিং, সাং-সাগরপাড়া, ২। মোঃ সাজু (৩০), পিতা-মোঃ হাসেম আলী,
সাং-সাগরপাড়া, বল্লভগঞ্জ, ৩। বাপ্পা সিং (২৮), পিতা-পরিতোষ সিং, সাং-সাগরপাড়া, সর্ব
থানা-বোয়ালিয়া, মহানগর রাজশাহী, ৪। মোঃ ইফতেখার হোসেন @ সুমন (৫০), পিতা-মৃত আঃ রউফ
@ মতিন, সাং-সিপাইপাড়া, থানা-রাজপাড়া, মহানগর রাজশাহীদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত
আসামীদের হেফাজত হতে ০৩ টি কাঁচের তৈরি মদের খালি বোতল, টিউনিং মদ(মিশ্রিত মদ) তৈরির
তরল পদার্থ ভর্তি ০১ টি প্লাস্টিকের তৈরি বোতল, তেতুলের বিচি ভর্তি ০১ টি কাঁচের বোতল,
কমলা কালারের ৫০ গ্রাম গুড়ো রং, ২৯ টি টিন ও প্লাস্টিকের তৈরি কর্ক, ১১ টি কর্কের নিব
ও ৫০ টি কর্কের প্রটেকশন, এ্যাকোহল ভর্তি ০২ টি প্লাস্টিকের সাদা বোতল উদ্ধার হয়। উদ্ধারকৃত
আলামতগুলির রাসায়নিক পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা প্রাথমিক
জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, তারা অতিরিক্ত লাভের আশায় বিদেশী মদের সাথে রেক্টিফাইড
স্পিরিটসহ অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে এক বোতলকে একাধিক বোতলে পরিণত করেছিলো এবং এই অবৈধ
মিশ্রিত মদ মৃত ও অসুস্থ ভিকটিমদের নিকট বিক্রয় করেছিলো। অসুস্থ ব্যক্তিদেরকে ধৃতদের
ছবি দেখানো হলে তারাও এদেরকে উক্ত মদ বিক্রেতা হিসেবে সনাক্ত করে। এ ঘটনায় বোয়ালিয়া
মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে (বোয়ালিয়া মডেল থানার মামলা নং-০৪, তাং-০৩/০১/২০২১
খ্রিঃ)। জড়িত সকলকে গ্রেফতার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজশাহী মেট্রোপলিটন
পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। এই অবৈধ মদের উৎস সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য কঠোর অভিযান অব্যহত
রয়েছে।
