Saturday, 20 April 2024

   09:02:10 AM

logo
logo
যে খাবারগুলো হার্ট সুস্থ রাখে

2 years ago

হার্ট মানুষের অতিমূল্যবান অরগান। যা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। আমাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাসের কারণে হার্টকে অসুস্থ করে ফেলছি। এই অসুস্থ হার্ট হতে মারে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারন। অকাল মৃত্যু রোধে ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে প্রয়োজন হার্টকে সুস্থ সবল রাখা। হার্টের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর ডায়েট। পুষ্টিবিদদের মতে সকালের খাদ্যতালিকায় নিচের খাবারগুলো রাখতে পারেন- এগুলো হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়ক-   

সবুজ সবজি: স্পিনাচ, কলি এসব সবুজ শাকগুলোতে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এগুলো ধমণীকে সুরক্ষা করে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে- সবুজ শাক হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়।

বাদাম: এক মুঠো বাদাম যেমন- কাজু বাদাম, চীনা বাদাম, হেজেলনাট, আখরোটসহ অন্যান্য বাদাম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খু্বই উপকারী। এই বাদামগুলো প্রোটিন, আঁশ, খনিজ, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। আখরোটে উচ্চমাত্রায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়।

বেরি: হার্ট সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই ফলটি। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি এবং রাস্পবেরির মতো ফলে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা হার্টকে সুরক্ষা করে। মানসিক চাপ এবং প্রদাহ মুক্ত রাখতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বেরি ফল খেলে বিভিন্ন রকমের হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে।

টকদই: এতে প্রোবায়োটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। টকদই হার্টে সুরক্ষা করে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হজমের উন্নতি ঘটায় সর্বোপরি শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

বীজ জাতীয় খাবার: তিল, সিয়াসিডের মতো বিচিজাতীয় খাবার ওমেগা ফ্যাটিঅ্যাসিডে ভরপুর। ওমেগা৩ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে, হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

গ্রীন টিঃ হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে গ্রিন টি খুবই কার্যকরী। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গ্রিন টি শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, গ্রিন টি রক্ত জমাট বাধতে দেয় না। পাশাপাশি, গ্রিন টি শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই কমে যায়।

সামুদ্রিক মাছঃ সামুদ্রিক মাছে আছে হার্টের জন্যে উপকারী ওমেগা-৩। রূপঁচাদা, কোরাল, রূপসা, লাক্ষা জাতীয় সামুদ্রিক মাছ বাংলাদেশে পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়া যেতে পারে। বিদেশি সামুদ্রিক মাছের মধ্যে টুনা, স্যামন, সারডিন, ম্যাকারেল, হেরিং ইত্যাদি যদি সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে খেতে পারেন।